সন্দ্বীপ উপজেলায় ৩০ মে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ১৭ নং মগধরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আমতলী এলাকায় নির্মল কবিরাজের বাড়ীত । এতে ঘরের থাকা সব আসবাব পত্র পুড়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি ঘরের মধ্যে ছিল ২০ টি মাছ ধরার জাল, ৫ ভরি স্বর্ণ দলিল পত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র ৮ টি সহ অনেক আসবাব পত্র সম্পন্ন পুরে ছাই হয়ে গেছে। সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন অফিসার কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া বলেন আমি চট্টগ্রাম অবস্থান করছি, রাতে একটি ফোন কল থেকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোক দ্রুত পাঠিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার কর্মিরা, ধারণা করা হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত, তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাশের ঘরের লোকজন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে তাদের তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক অমুল্য জলদাস (৫০) জানান গভীর রাতে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন আমার ঘরে কেউ ছিল না, আমার পরিবারের সব সদস্য গত এক সপ্তাহে পর্যন্ত পলাতক ছিল, মামলার কারণে। অমূল্যর
স্ত্রী শরবতী জলদাস বলেন তার ছেলের সাথে পাশের ঘরের মেয়ের প্রেম সম্পর্ক ছিল, সে বিষয়কে কেন্দ্র করে শানুর ফ্যামিলির লোকজন আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। অমুল্য জলদাসের ছেলে ভতা স্ত্রী লিমা রানী, মিলনের স্ত্রী প্রাণবতী একই অভিযোগ করে বলেন গভীর রাতে আমাদের ঘরে আগুন দেয়ার সময় আমরা কেউ ঘরে ছিলাম না। শানুদের পরিবারের লোকজন আমাদের ঘর জালিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শানুর ছেলের স্ত্রী বলেন আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। মগধরা ইউপির ৬ নং ওয়াডের সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন দীর্ঘদিন তাদের দুই পরিবার ভাল ছিল, গত কিছুদিন আগে তাদের দুই পরিবারের ছেলে এবং মেয়ে হারিয়ে যায়, এটা থেকে মামলা ও হয়েছে, আগুন লাগার বিষয়টি আমি জানার পর উপজেলা চেয়ারম্যান কে জানাই তিনি নির্দেশ প্রদান করছেন দুই পরিবারকে নিয়ে বসে বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করতে কিন্তু তারা কেউ আসে নি, শুনেছি দুই পক্ষ থানা ও আদালতে গিয়েছে।