আজ রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

শিম চাষে লাভের আশা চন্দনাইশের কৃষকদের

মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, চন্দনাইশ : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:১১:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় শিম  চাষে বদলে যেতে পারে কৃষি অর্থনীতি। অন্যান্য বছরের তুলানায় এ বছর শিম  চাষে ফলন ভাল  হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় চাষিরা। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় এলাকায় কম বেশি শিম  চাষ করেছে চাষিরা। শিম চাষ বিভিন্ন রকমারির শবজির মধ্যে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ জনপ্রিয় সবজি। বিভিন্ন জাতের শিমের বীচির ও তরকারি হিসেবে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক কথায় শিম  চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন করে পরিবারে সচ্ছলতা আনা সম্ভব । সমৃদ্ধ করতে পারে কৃষি অর্থনীতিকে। 

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি, শীলঘাটা, দোহাজারীর দিয়াকুল. শঙ্কের তীরবর্তী এলাকা, সাতবাড়ীয়া, হাশিমপুর, বরকল, বরমা ও কাঞ্চননগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে চোখজুড়ানো শিমের চাষ। ধোপাছড়ি এলাকার শিম চাষী নুরুল ইসলাম  জানান, এবছর ফলন ভাল হওয়ায় এবং বাজারে শিমের দর ভাল থাকায় অন্যান্য  বছরের তুলনায় বেশী লাভের আশা করছেন তিনি।  হাশিমপুরের শিমচাষী আব্দুল আলীম জানান, এ বছর আবহওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের আবাদ অনেক ভাল হয়েছে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  শিম ক্ষেত আবাদে খুব বেশি জমির দরকার হয় না। আলাদা জমি ব্যবহার না করেও অন্য ফসলের মাঝে এ শিম আবাদ করা যায়। এ ছাড়া ফসলি জমিতেও শিম বীজ রোপন করে ভাল ফলন করা যায়। ভাদ্র  মাসের প্রথম দিকে এই শিমের বীজ বপন করতে হয়। চারা বের হওয়ার ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু হয়।

দেড় মাস বয়সের গাছ থেকে শিম তোলা শুরু হয় । তিন থেকে চার দিন পর পর শিম তুলে আমরা বিক্রি করি। বিভিন্ন সবজি চাষ শেষ হয়ে গেলে শীতের আগমনের আগে ভাদ্র আশ্বিন মাসে শাক সবজির ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করে সবজির ঘাটতি পুরণ করা সম্ভব । তার মতে কৃষি অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে এ শিম চাষ ।  

 

 বতমানে দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশে দশটি ইউনিয়নের সর্বত্র এলাকায় বিপুল পরিমানে শিম  চাষের ফলন হচ্ছে। উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় এবং দোঁআশ মাটিতে ভালো ফলন হয় এই ক্ষেতে।  বর্ষা মৌসুমে ছড়া দামে এ শিমের বীজ বিক্রি হয় বিভিন্ন হাট বাজারে। ক্ষেতের পরিচর্যাকারী চাষীদের মতে, প্রতি কানি জমিতে বর্তমান শিম চাষে ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয় চাষিদের। বর্তমান বাজারে শিমের প্রতি কেজি বিশ থেকে ত্রিশ টাকা এবং শিমের বীজ প্রতি কেজি  আশি থেকে একশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার জানান, চন্দনাইশে মোট ৪৯০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়। তন্মধ্যে কার্তিকা ও স্হানীয় বিভিন্ন জাতের শিমের চাষ হয় চন্দনাইশে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শিম চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক সহায়তা দিয়ে থাকি। এছাড়া শিম চাষীদের জন্য  অন্য কোন প্রশিক্ষণ বা অনুদান, উপকরণের কোন সুযোগ  আপাততঃ নেই।