![](https://thedailyshangu.com/storage/448249448-792515573011560-969137686679665443-n.jpg)
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মিজবাহুল জান্নাত তারিন (২০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী কোরবানির ঈদে ছাগল না দেওয়ায় হত্যা করেছে। অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতে বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদ উল আযহার দিন দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। লোহাগাড়া থানার পুলিশের এসআই সত্যজিৎ লাশের সুরতহাল শেষ করেন।
লোহাগাড়ার চুনতি মিরিখিল গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের সঙ্গে তারিনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সে আধুনগর রশিদারঘোনা গ্রামের নুরুল ইসলাম পুতুর মেয়ে।
নিহতের মা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তারিনকে যৌতুকের জন্য নানা ধরণের নির্যাতন করেছে। তারিনের শ্বাশুরি কুরবান উপলক্ষে ছাগল দাবী করে। এর জের ধরে তাকে গলাটিপে হত্যা অথবা বিষ প্রয়োগ করিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে। এটি শ্বাশুরি ও ননদ জোবাঈদা আক্তার পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে দাবী করেন তিনি।
অভিযুক্ত তারিনের শ্বাশুরি পারভিন আক্তার বলেন, কুরবান উপলক্ষে কোন কিছু চাওয়া হয়নি। তবে তারা ছাগলের পরিবর্তে ঈদের পর টাকা দিবে বলছিল। কেন বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা করেছে সেটা জানি না। এখানে আমাদের দোষের কিছুই নাই।
নিহতের স্বামী মো. আরফাত বলেন, কুরবান উপলক্ষে রাতে চাকুরী থেকে বাড়ি আসি। আমাদের সুখের সংসার চলছিল। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে এসে জানতে পারি তারিন বিষ প্রয়োগ করে বমি করতেছে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তার মাকে দায়ী করছেন ছেলে আরফাত।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: পৃথ্বীরাজ কর জানান, সকাল ১০ টার পরপরই তারিন নামের গৃহবধুকে বিষ প্রয়োগ অবস্থায় নিয়ে আসে স্বজনরা। দীর্ঘ ১ ঘন্টা চিকিৎসার পর সকাল ১১টায় মারা যায়।
লোহাগাড়া থানার এসআই সত্যজিৎ জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষ করি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাবে।