চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ৫ দোকান। তিনটি দোকান একেবারে পুড়ে ছাই হয়েছে। দমকল বাহিনীর দক্ষতায় আরো ২০ দোকান আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় লোহাগাড়া আধুনগর খাঁনহাট বাস স্টেশনে ভাইভাই মাার্কেটে এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের একদল দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকনিরা হলেন- সিফাত ইলেক্ট্রিক এন্ড স্টোরের মালিক মো. লোকমান, এস.এন ইলেকট্রনিক্সের মালিক নুরুল ইসলাম, বাবুর সেলুনের মালিক নয়ন শীল, হাশেম ফার্মেসীর মালিক ডা: এম.এ হাশেম, দেরাছ স্টোরের মালিক মো. মহরম।
প্রত্যক্ষদর্শী আধুনগর ইসলামিয়া কামির মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মুছা মুহাম্মদ খালিদ জমিল বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি যাবার সময় ভাই ভাই মার্কেটের মাঝখানে আগুনের ধৌয়া দেখলে আশ পাশের লোকজনদের ডেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে তারা দ্রæত এসে আগুন নেভানোর কাজে নেমে দ্রæত আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। এর মধ্যে ৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ নুরুল ইসলাম বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি দোকানে সব ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক যুগ আগেও অগ্নিকাÐের ঘটনায় সব হারিয়ে ছিলাম। ক্ষত শুকানোর আগেই আবারো বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন লিডার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আধুনগর স্টেশনে ভাইভাই মার্কেটে অগ্নিকাÐের খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থ এসে ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। যার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে পাশের ২০ দোকানকে রক্ষা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।