আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

লোহাগাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিষ্ণুতায় নারীসহ আহত ১৮

জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া: | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:১২:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

লোহাগাড়ার চুনতি পানত্রিশা গ্রামে নির্বাচনী পরবর্তী সহিষ্ণুতায় মেম্বার প্রার্থী জানে আলম জানু মেম্বারে ফুটবল প্রতীকের সমর্থক ও মো. জাহাঙ্গীর আলমের তালা প্রতীকের সমর্থকদের গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৮ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

 

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) লোহাগাড়ার চুনতি ৯নং ওয়ার্ড পানত্রিশা গ্রামে ইসহাক মিয়া সড়কে ফুটবল মার্কার সমর্থনে বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরে মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে।

 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজলার চুনতি পানত্রিশা গ্রাম এলাকার আবুল কাশের স্ত্রী রেনু আরা বেগম (৫০), গফুর আইয়ুবের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৫৫), ছেলে মো. তানভীর (১৪), মৃত হাজী জাকের মিয়ার ছেলে নুর আহমদ (৭৫), তার স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম (৭০), ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০), জসিম উদ্দিন (৩৮), মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে আব্দুল হাফেজ (৩৮), ছেয়দ আহমদের ছেলে ইয়ারুল হক (৪৫), আলী আহমদের ছেলে বশির আহমদ (৫৫), গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), মো. আবছারের স্ত্রী রিকু (৩২), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আসমাউল হুসনা (৫০), অপর পক্ষের চুনতি পানত্রিশা গ্রামের মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে মুজিবুর রহমান (৩০), মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. দিদারুল আলম (৪০), চুনতি মাহজন পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও বশির আহমদ (৩৮)।

 

আহত জসিম উদ্দিন জানান, ওই এলাকার সিরাজুল ইসলাম, তার ছেলে রেজাউল বাহার রেজা ও ভাতিজা এরফানুল হক ইমন দেশীয় তৈরি অবৈধ অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং গুলি বর্ষণ করেন। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এরা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দেশ স্বাধীন হলেও পানত্রিশা গ্রাম তারাই রাজত্ব করবে ঘোষণা দিয়ে এমন বর্বর হামলা চালিয়েছেন।

ঘটনার খবর পেয়ে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এঘটনায় এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করে।

 

অভিযুক্ত সিরাজুল ইাসলাম বলেন, চুনতি ৯ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থী জানে আলম জানু মেম্বার বিজয় মিছিল নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে পারাঙ্গায় এসে আমাকে মিষ্টি মুখ করা। তারা চলে যাওয়ার সময় তার কাছে প্ররাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ঘটনার সময় আমি পারাঙ্গা গ্রামে ছিলাম। ঘটনার খবর পেয়ে দেখি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে তিনি অস্ত্র হাতে গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

 

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান বলেন ঘটনার পরপরই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।