আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

লোহাগাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তি দখল

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৬:৩৫:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা নোয়ারবিলা পূর্ব রাজঘাটা গোসকাটা মুড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কেটে কাটা তার ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে জোরপূর্বক দখল নেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চরম্বা রাজঘাটা গ্রামের  মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন। 

অভিযুক্তরা হলেন- ওই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, জাগির হোসেন, তার ছেলে আবদুল মান্নান ও নুরুচ্ছফা।

জানা গেছে, উপজেলার চরম্বা রাজঘাটা মৌজার বি.এস ১নং খতিয়ানের বি.এস ৩৬৭৯নং দাগের হায় ৪ একর জমি দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই সম্পত্তির দাবীদার নুর জাহান বাদী হয়ে সাতকানিয়া আদালত লোহাগাড়া চৌকিতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে বলার আদেশ দেন। লোহাগাড়াক থানা পুলিশ বিবাদীদের সমন জারি করেন।

সম্প্রতি বিবাদীরা কৌশলে বিরোধীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে গাছে কেটে বিক্রি করে দিয়ে ঘেরা-বেড়া দিয়ে দেন। গত সোমবার সকালে দখলে নিয়েছেন। সেখানে তারা কয়েকটি টিনের  ছাপড়াও বসিয়েছেন।

মো. বেলাল বলেন, আমরা অসহায়, কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আমার মা, বোন, স্ত্রী, ভাবি নামে ৪ একর জমি বরাদ্ধ দেন। সেই জমি আমরা আর দখলে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত গত ২০২১ সালের ২ মার্চ বিরোধীয় জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নীরব থাকায় দখল করে নেন জায়গা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন বিবাদীরা।

অভিযুক্ত আবদুল মন্নান বলেন, সরকারি খাস পাহাড়টি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে। তাই আমরা গাছ কেটে বিক্রি করেছি। নতুন করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে আবারো গাছের বাগান করতে কাজ শুরু করেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দখল করে ঘেরা বেড়া দিয়েছেন কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা একা দখল করি নাই। আমার চাচারাও দখল করেছে। আদালেতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তারা জানেন না বলে দাবী করেন।

লোহাগাড়া থানার ওসি মো: রাশেদুল ইসলাম  যুগান্তরকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লোহাগাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তি দখল

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা নোয়ারবিলা পূর্ব রাজঘাটা গোসকাটা মুড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কেটে কাটা তার ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে জোরপূর্বক দখল নেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চরম্বা রাজঘাটা গ্রামের  মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন। 

অভিযুক্তরা হলেন- ওই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, জাগির হোসেন, তার ছেলে আবদুল মান্নান ও নুরুচ্ছফা।

জানা গেছে, উপজেলার চরম্বা রাজঘাটা মৌজার বি.এস ১নং খতিয়ানের বি.এস ৩৬৭৯নং দাগের হায় ৪ একর জমি দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই সম্পত্তির দাবীদার নুর জাহান বাদী হয়ে সাতকানিয়া আদালত লোহাগাড়া চৌকিতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে বলার আদেশ দেন। লোহাগাড়াক থানা পুলিশ বিবাদীদের সমন জারি করেন।

সম্প্রতি বিবাদীরা কৌশলে বিরোধীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে গাছে কেটে বিক্রি করে দিয়ে ঘেরা-বেড়া দিয়ে দেন। গত সোমবার সকালে দখলে নিয়েছেন। সেখানে তারা কয়েকটি টিনের  ছাপড়াও বসিয়েছেন।

মো. বেলাল বলেন, আমরা অসহায়, কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আমার মা, বোন, স্ত্রী, ভাবি নামে ৪ একর জমি বরাদ্ধ দেন। সেই জমি আমরা আর দখলে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত গত ২০২১ সালের ২ মার্চ বিরোধীয় জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নীরব থাকায় দখল করে নেন জায়গা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন বিবাদীরা।

অভিযুক্ত আবদুল লোহাগাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তি দখল

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা নোয়ারবিলা পূর্ব রাজঘাটা গোসকাটা মুড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কেটে কাটা তার ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে জোরপূর্বক দখল নেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চরম্বা রাজঘাটা গ্রামের  মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন। 

অভিযুক্তরা হলেন- ওই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, জাগির হোসেন, তার ছেলে আবদুল মান্নান ও নুরুচ্ছফা।

জানা গেছে, উপজেলার চরম্বা রাজঘাটা মৌজার বি.এস ১নং খতিয়ানের বি.এস ৩৬৭৯নং দাগের হায় ৪ একর জমি দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই সম্পত্তির দাবীদার নুর জাহান বাদী হয়ে সাতকানিয়া আদালত লোহাগাড়া চৌকিতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে বলার আদেশ দেন। লোহাগাড়াক থানা পুলিশ বিবাদীদের সমন জারি করেন।

সম্প্রতি বিবাদীরা কৌশলে বিরোধীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে গাছে কেটে বিক্রি করে দিয়ে ঘেরা-বেড়া দিয়ে দেন। গত সোমবার সকালে দখলে নিয়েছেন। সেখানে তারা কয়েকটি টিনের  ছাপড়াও বসিয়েছেন।

মো. বেলাল বলেন, আমরা অসহায়, কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আমার মা, বোন, স্ত্রী, ভাবি নামে ৪ একর জমি বরাদ্ধ দেন। সেই জমি আমরা আর দখলে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত গত ২০২১ সালের ২ মার্চ বিরোধীয় জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নীরব থাকায় দখল করে নেন জায়গা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন বিবাদীরা।

অভিযুক্ত আবদুল মন্নান বলেন, সরকারি খাস পাহাড়টি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে। তাই আমরা গাছ কেটে বিক্রি করেছি। নতুন করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে আবারো গাছের বাগান করতে কাজ শুরু করেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দখল করে ঘেরা বেড়া দিয়েছেন কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা একা দখল করি নাই। আমার চাচারাও দখল করেছে। আদালেতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তারা জানেন না বলে দাবী করেন।

লোহাগাড়া থানার ওসি মো: রাশেদুল ইসলাম  যুগান্তরকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্নান বলেন, সরকারি খাস পাহাড়টি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে। তাই আমরা গাছ কেটে বিক্রি করেছি। নতুন করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে আবারো গাছের বাগান করতে কাজ শুরু করেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দখল করে ঘেরা বেড়া দিয়েছেন কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা একা দখল করি নাই। আমার চাচারাও দখল করেছে। আদালেতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তারা জানেন না বলে দাবী করেন।

লোহাগাড়া থানার ওসি মো: রাশেদুল ইসলাম  যুগান্তরকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।