আজ শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩রা কার্তিক ১৪৩১

লামায় ভারি বর্ষণে পাহাড় ধ্বস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত,পানি বন্ধি লক্ষাধিক মানুষ,পরিস্থিতি ভয়াবহ

বেলাল আহমদ,লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৭ অগাস্ট ২০২৩ ০৪:০১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বান্দরবানের লামা-আলীকদমের দু উপজেলায় টানা ভারি বর্ষণে ব্যাপক পাহাড় ধ্বস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচশতাধিক ঘর-বাড়ি। পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে দূ’উপজেলা সদর ও লামা পৌর এলাকাসহ নিম্নার্ঞ্চল।পাহাড়ধস ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সাথে ইউনিয়ন গুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় এক লক্ষাধিক লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে লামা পৌরসভায় ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দেড় হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে গবাদিপশুসহ পাহাড়ের ঢালু ও উচুস্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

পাহাড়ধস আর বন্যার পানিতে কৃষকদের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, লামা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মন জানান, এবার লামায় ৩ হাজার ২৭১, আমন ৩ হাজার ১৮২ এবং ব্যোরো ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়েগেছে।

 

এদিকে লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আমান উল্লাহ জানান, পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে লামা বাজারসহ পাশ্ববর্তি ব্যবসা কেন্দ্রগুলো পানির নিচে ডুবে গেছে। হঠাৎ বন্যায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যাবসায়িরা।  

 

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে পৌরসভায় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

 লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, উপজেলার বিভিন্নস্থানে চার শতাধিক ঘর-বাড়ি আংশিক এবং পূর্ণাঙ্গ বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বসে গেছে গ্রামীন রাস্তাঘাট ও কালভার্ট।

 

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মনির জানান বন্যা ও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য জরুরীভিত্তিতে লামা পৌর সভা ও উপজেলার জন্য ৫ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

 

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান,এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝুকিপূর্ন এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।৪টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করি পাচঁ শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং এক হাজার মানুষের জন্য খাবার প্রস্তুুত করা হচ্ছে।দূর্যোগকালীন সময় জরুরী প্রয়োজনের জন্য কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।