আজ মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ ০৩:৩৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারির সময়ও আমরা এ দেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভুলে যাইনি। তাদের নিয়মিত টিকা, পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, এ দেশে আশ্রিত বিশাল জনগোষ্ঠীটি আমাদের অঞ্চলের জন্য মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। কেবল সসম্মানে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের টেকসই সমাধান। আমি আশা করি মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

 

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা অংশ নেন।

 

 

১১-০৭-২৩-চগথওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হভবৎবহপব ড়হ চঁনষরপ ঐবধষঃয ধহফ উরঢ়ষড়সধপু-৬

ঢাকায় ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা (ছবি: ফোকাস বাংলা)

 

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।

 

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সে সময় সব মিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।