পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান ঢাকা থেকে কড়া নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইউরেনিয়ামবাহী গাড়ি রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ান নাগরিকরা স্বাগত জানান।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাশিয়া থেকে দ্বিতীয় চালানের ইউরেনিয়াম বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছায়। প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান জ্বালানি সড়কপথে রূপপুরে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচটি চালান দেশে আসবে।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রাশিয়া থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ইউরেনিয়াম পৌঁছানোর পর ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সড়ক পথে রূপপুরে আনা হয়। বৃহস্পতিবার আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাছে রাশিয়া জ্বালানি সনদ হস্তান্তর করেছে। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২৪ সালের মার্চে প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। পরের বছর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিটে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।