আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রামুতে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী নির্যাতনের বিচার ঝুলে আছে দেড় মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৯ জুলাই ২০২২ ০৬:৫৮:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে শারমিন আক্তার নামের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী নির্যাতিত হয়েছে। গত ১২ জুন ঘটনাটি ঘটে। 

ঘটনার দেড় মাসেও সুরাহা হয়নি। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিচার বঞ্চিত ওই ছাত্রীর শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

ভিকটিম স্কুলছাত্রীর পিতা ছৈয়দ হোসেনের অভিযোগ, স্কুল ছুটির সময় ক্লাস রুমের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কোন কারণ ছাড়া শারমিনকে মারধর করেন সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার। এক পর্যায়ে স্কুলের দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।  

ঘটনা সম্পর্কে প্রধান শিক্ষককে  অবহিত করতে গেলে তিনি উল্টো হুমকি-ধমকিসহ ভর্তি বাতিল করবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। 

বিষয়টি সম্পর্কে রামু শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবক ছৈয়দ হোসেন। উল্টো হুমকি দিচ্ছে। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছৈয়দ হোসেন জানান, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তারা হতাশ। উভয়পক্ষকে নিয়ে ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। 

রামু উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু শামীম জানান, ঘটনার পরপরই তারা বিদ্যালয়ে যান। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। এখন ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষা অফিসারের।  

এ বিষয়ে রামু উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌর চন্দ্র দে বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামীমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখনো লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নি। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে। 

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি। শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।