আজ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১

রাতে আঘাত হানতে পারে ‘হামুন’: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৪৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ দ্রুত ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। এটি আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

 

 

এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করে বলছি, আজ রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করবে।

 

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এ ১০টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ রাত ৮টার মধ্যে দুর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ১০টি জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

 

 

এদিকে, সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতর হামুনের গতিপথ সম্পর্কে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকাল থেকে ভোলা হয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

 

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট মেঘমালার অগ্রভাগ এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করেছে। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

 

সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কি.মি. পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

 

 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি.র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।