আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

রাঙ্গুনিয়ায় ১২ স্থানে পশুর হাট, নেই কাঙ্খিত ক্রেতা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ জুলাই ২০২২ ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

আর মাত্র ৫দিন পরেই মুসলিমদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইজারা দেওয়া হয়েছে ১২টি পশুর হাট। এর মধ্যে দুটি স্থায়ী পশুর হাট এবং পৌরসভা সহ ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (৪ জুলাই) এ ১০টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী।

উপজেলা প্রশাসনের ইজারা চূড়ান্ত হওয়া পশুর হাট গুলো হলো, উপজেলার অধীনে ৩নং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়ার ব্রক্ষ্মোত্তর রাস্তার মাথা, মরিয়মনগর চৌমুহনী বিল, কোদালা বাজার, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট রোড, দ. রাজানগরের ধামাইরহাট বাজারের মুখ হতে গাগড়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে,পদুয়ার রাজারহাট বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, শিলকের শিলক দীঘিরপাড় বাজার সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, পোমরার শান্তিরহাট বাজার ও বেতাগীর রামগতিরহাট আফজল চৌধুরী দীঘিরপাড় সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে।

পৌরসভার অধিনে ১টি স্থান চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের গোডাউন বাজারে অস্থায়ীভাবে পশুর হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার কিছু বাধ্যবাধ্যকতা।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী জানান, পৌরসভাসহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১০টি পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। স্থায়ী হাটগুলোসহ ইজারার বাইরে কোথাও হাট বসার অনুমতি নেই। যদি কেউ কোথাও অবৈধভাবে হাট বসায় উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে কোনোভাবেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এক্ষেত্রে সড়কের ওপরে পশুর হাট বসানো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এদিকে পশুরহাটগুলোতে পশু ভর্তি থাকলেও ক্রেতা তেমন নেই বলে জানালেন বিক্রেতারা।  শেষ মুহুর্তে এসে বাজার জমজমাট হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।

অন্যদিকে, ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই মোবাইল ফোনে ফোর-জি, থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় ইমো, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কলে প্রবাসে অথবা বাড়িতে থাকা লোকজনকে গরু দেখাচ্ছেন এবং ভিডিও কলে গরু দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে ফেসবুক, হোয়াটস আপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।