রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। অল্প পরিশ্রমে ভালো ফলনের আশায় কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারের মতো তিন হেক্টর জমিতে সূর্যমুখির আবাদ হয়েছে। প্রণোদনা এবং এনএফএলসিসি প্রকল্পের কয়েকটি ইউনিয়নে পরীক্ষামূলক ভাবে এর চাষ করা হয়। উপজেলার রাজানগর, ইসলামপুর, পদুয়া, দক্ষিণ রাজানগর, পোমরা ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নে এবার সূর্যমুখি চাষ করা হয়। সূর্যমুখি ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা কেজি তেল উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি কেয়ারে ৭ মণ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি কেয়ারে ১৫০ থেকে ২০০ লিটার। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি কেয়ার জমিতে সর্বোচ্চ খরচ হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। সুখবিলাস এলাকার কৃষক টিটু বড়ুয়া বলেন, এই প্রথম ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখি আবাদ করি। ফলন মুটামুটি ভালো হয়েছে। ফসল কাটার পর লাভ- লোকসান হিসাব করতে পারব। আগামীতে আমি আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এই চাষ করব। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহিদুজ্জামান সাহেদ বলেন, সূর্যমুখির বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই বীজ ঘানিতে ভাঙ্গিয়ে ২৫% এবং এক্সপেরালে ৩০%-৩৫% পর্যন্ত তেল পাওয়া যায়। এ এলাকায় আবহাওয়া সূর্যমুখি চাষের অনুকূল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, মাঠ পর্যায়ে এর সম্প্রসারণের জন্য আমরা প্রদর্শনী, মাঠদিবস, প্রণোদনাসহ কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কাজ করছি।