আজ মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১
প্রকল্পে যা যা থাকছে- পুকুর, মসজিদ, খেলার মাঠ ও কবরস্থান

মিরসরাইয়ে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য নির্মাণ হচ্ছে মডেল আশ্রয়ন প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ ০৬:০৮:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে সর্বপ্রথম নিজস্ব ভূমিতে ১০৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে মডেল আশ্রয়ন প্রকল্প। সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় ২.৬০ একর জমিতে নির্মিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মাদ নাজমুল আহসান, রেভিনিউ ডিপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মং মারমা, জেলা প্রশাসক অফিসের স্টার্ফ প্লাবন কুমার বিশ^াস, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) এসএমএন জামিউল হিকমাহ ও মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম দিদার। 

পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার কর্তৃক মিরসরাইয়ে ৩৬৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর সরকারী অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়। আগামী ২১ জুলাই মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় ১০৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ওইদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। 

তিনি আরো বলেন, মিরসরাই উপজেলায় সরকারি খাসজমির স্বল্পতা থাকায় ব্যক্তিগত জমি ক্রয় করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুণর্বাসনের জন্য কার্যালয় হতে প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে ১৯০টি পরিবারের জন্য ২.৬০ একর জমি ক্রয় বাবদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় ১০৯টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভূতপ্রকল্প আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা নির্মাণ কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্মাণ সামগ্রীগুলো সাশ্রয়ীমূল্যে পেয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, এটি নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে দেশের প্রথম আশ্রয়ন প্রকল্প। এখানে ভূমিহীনদের বসবাসের জন্য থাকবে পুকুর, মসজিদ, খেলার মাঠ ও কবরস্থান। পর্যায়ক্রমে এগুলো নির্মাণ করা হবে।  এখানে বসবাসের উপযোগী সবধরণের সুযোগ সুবিধা থাকবে।