মিরসরাইয়ে মাছ চুরির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার ৭নং কাটাছরা ইউনিয়নের বামনসুন্দর দারোগারহাট এলাকা থেকে তাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়। আটককৃত স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, উপজেলার বামনসুন্দর দারোগারহাট এলাকায় আমার খালাত ভাই রাশেদুল আলম রিয়াদ ২০২৩ সালে ৫টি পুকুর স্থানীয় তারিফ থেকে মাছ চাষের জন্য বন্ধক নেয়। কিছুদিন পূর্বে রিয়াদ পুকুরে সেচ দেওয়ার জন্য শেলো মেশিন বসালে সন্ত্রাসীরা গিয়ে মেশিন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের সাথে আপোস করে বিষয়টি সমাধান করা হয়। সর্বশেষ সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পুকুরে জাল দেওয়ার সময় স্থানীয় কসাই ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাছ ধরতে বাধা দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা কাতাল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই প্রজাতির প্রায় ৪টন মাছ ৬০টি ড্রামে করে দুইটি ট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে বিক্রী করে ফেলে। আমাদের লোকদের থেকে নগদ ৮২ হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইলও ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে আমরা ঘটনাস্থল থেকে এসে সেনাবাহিনীর মিরসরাই ক্যাম্পে অভিযোগ করলে সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সালাহ উদ্দিন, যুবদলের কর্মী নাজিম উদ্দিন, ছাত্রদল কর্মী রকি ও নোমানকে আটক করে জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, মাছ চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে চারজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর কাছে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।