মিরসরাইয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে করা বিক্ষোভ মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নের আবদুস ছাত্তার ভূঁইয়ারহাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলটি বের করা হয়।
এসময় আহত হন ছাত্রদল নেতা জামশেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, দুলাল, মাঈনুদ্দিন সোহান, মো. জসিম, যুবদল নেতা মোরশেদুল আলম, রাশেদুল আলম। আহত যুবদল নেতা মোরশেদুল আলমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি অলি আহম্মদ বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের ৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব জামশেদ খান ও ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন আমাদের মিছিলে বাধা দেয়। এসময় তারা মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরবর্তীতে আবদুস ছাত্তার ভূঁইয়ারহাটে আমার মালিকানাধীন কুলিং কর্ণার ও আমার বাড়িতেও তারা ভাঙচুর চালায়। একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও একটি চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের প্রায় ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহত ছাত্রদল নেতা জামশেদুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব জামশেদ খান বলেন, ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নের আবদুস ছাত্তার ভূঁইয়ারহাটে আমাদের নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের একনিষ্ঠ কর্মী যুবদল নেতা মোরশেদুল আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি সিরাজ ভাইসহ তাকে দেখতে শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। এটি তো ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নের ঘটনা। আমি ৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করি। ওখানে আমি যাইনি। আমার নামে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, কাটাছড়া ইউনিয়নে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে নিজেদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এসময় কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দু’টি গ্রুপে বিভক্ত। একাংশের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী এবং অপরাংশের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন।