আজ বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ ১৪৩১
চকরিয়ায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিপিপিএ কার্যাবলী ও ই-জিপি বিষয়ক কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব

বাংলাদেশে ই-জিপি এখন সফল এবং সারাবিশ্বে খুবই সমাদৃত

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন
  • ক্রয় প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সরকারি ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে দরদাতা ও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) ও ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে ই-জিপি দরপত্র আহ্বানসহ নানা সুবিধা নিয়ে এই কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিপিপিএ'র প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) মীর্জা আশফাকুর রহমান। কর্মশালার শুরুতে তিনি স্বাগত বক্তব্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া ওয়েবসাইট এবং সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালায় বিপিপিএ'র প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) মীর্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ই-জিপি এখন সফল এবং সারাবিশ্বে এখন খুবই সমাদৃত। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ক্রয় প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং ক্রয় কাজে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুযায়ী সরকারি ক্রয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াজনিত বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) গঠন করা হয়েছে। অনলাইনে দরপত্র আহ্বান, ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের ধারণা প্রদানের জন্য এই সচেতনতা কার্যক্রম নেওয়া হয়। অনলাইন সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান ও ওয়েবসাইটের ব্যবহার সম্পর্কে মূলত এই ই-জিপি সচেতনতামূলক কর্মশালা।

তিনি আরও বলেন, এক সময় কাগজের যে পরিমাণ অপচয় হতো তা ই-জিপি সিস্টেম চালু হওয়ার কারণে কাজের ক্ষেত্রে অর্থ, সময়, কাগজসহ সব ধরনের সাশ্রয় হচ্ছে। বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। এখন আর কোনো টেন্ডার ড্রপ করতে হলে জীবননাশের ভয় থাকে না। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট টেন্ডারের সময়ে বসে থাকতে হয় না। বর্তমানে আমরা সেই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিপিপিএ ডাইম্যাপ বাস্তবায়ন করছে। ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে জানতে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা সিপিটিইউ পরিদর্শন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতিও ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। ই-জিপিকে আরও কার্যকর করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সিডিউল সংযোজন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনার পুরো প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া ই-জিপি সিস্টেমে ক্রয়কারী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের অফিসে বসেই কাজ করতে পারবেন। এজন্য আমরা ই-জিপি সিস্টেমকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

আয়োজিত কর্মশালায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, চকরিয়া থানা, চকরিয়া পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।