দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সব প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মাঠ পর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তারা যে তথ্য পাঠিয়েছে তা একীভূত করে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। আর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বাছাই শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছিলেন ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাতিল ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৪২৩টি হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এদের অধিকাংশের মনোনয়নপত্র আবার বাতিল হয়েছে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক দলিলাদিতে। এছাড়া ঋণ খেলাপ, পরিবেশ বিল বকেয়া, আয়কর সনদ না থাকা, স্বাক্ষর না করা, দলের মনোনয়নের প্রমাণাদি না দেওয়া, মামলা তথ্য গোপন করা ইত্যাদি কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।
বর্তমানে চলছে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রথম দিনের কার্যক্রমে মোট আপিল আবেদন জমা পড়েছে ৪২টি।
আপিল আবেদনকারীদের মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও সমর্থনসূচক দলিলাদিতে গরমিল পাওয়ায় ২৩ জনের, আয়কর রিটার্ন না থাকায় পাঁচজনের, মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর নেই চারজনের, ঋণখেলাপি পাঁচজন এবং তিনজন গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রথম দিনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আপিল আবেদন জমা পড়েছে বেশি।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।