জনগণের গণজোয়ারকে সরকার ভয় পাচ্ছে, এতদিন ১৪৪ ধারা জারি করে মিছিল সমাবেশ বন্ধ করেছিলো, এখন ১৪৪ ধারার দিন শেষ। সরকার বেছে নিয়েছেন ওমিক্রন নামের রোগকে। ওমিক্রন মূলত সরকারের গদি রক্ষার হাতিয়ার। এ ওমিক্রন দিয়ে কয়দিন ঠিকে থাকবে সরকার? বিএনপির নেতৃত্বে এ অবৈধ সরকারকে উচ্ছেদ করা হবে।
এ সরকারের কাছে আর বেগম জিয়ার মুক্তি চাইবো না, বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবো ইনশাআল্লাহ-আজ বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, হারুনুর রশিদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট এস. এম ফোরকান, এস. এম. মামুন মিয়া, মোহাম্মদ ওসমান প্রমুখ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তৃতা বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন-এ চট্টগ্রাম বীর কন্যা প্রীতি লতার চট্টগ্রাম। আজকের এ দিনে চট্টলার বীর সন্তান মাস্টার দ্যা সূর্য সেনের জন্য ফাঁসি মঞ্চ তৈরি করা হয়ে ছিল, এ চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ চট্টগ্রাম থেকে স্বৈরাচারী পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
সমাবেশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের সঞ্চলনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্নফুলী, পটিয়া, বাঁশখালী,বোয়ালখালী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, চন্দনাইশ উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হয়ে দুপুর ১২ টায় সমাবেশস্থ জনসমুদ্রে রূপ নেই। একে একে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিলে সহকারে আসতে থাকে কর্মী সমর্থকরা।