দেশের বেকারত্ব দূর করতে যুব সমাজের জন্য আত্মর্মযাদাসম্পন্ন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের জনবান্ধব আইনজীবী হিসেবে খ্যাত অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।
শনিবার (৮ই জুলাই) রাতে দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকাকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী ইতিমধ্যেই নিজ এলাকার অবহেলিত ও নিপীড়িত মানুষকে আইনি সহায়তা দিয়ে এবং নিজের পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত সালমা-রেজা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে শিক্ষা ও সামাজিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে শত শত মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে দীর্ঘদিন যাবৎ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী শ্রীপুর- ধরনদ্বীপ ইউনিয়ন) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। শুধু তাই নয়, আগামীতে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে আছেন বলেও জানা যায়।
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানার অন্তর্গত সাবেক রাঙ্গুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজ গ্রামের স্কুল থেকে প্রাইমারি ও রাঙ্গুনিয়ার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর.কে.আর হাই স্কুল থেকে ১ম বিভাগে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ১ম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে সাফল্যের সাথে এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করে ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বার কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন এবং চট্টগ্রাম জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম চৌধুরীর জুনিয়র হিসেবে আইনি পেশা শুরু করেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা বারে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিন বছর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অনুমতি পেয়ে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল হকের সাথে হাইকোর্ট বিভাগের একজন নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে আইনি পেশা চালিয়ে যান। আইনি পেশায় তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম ব্যারিস্টার রফিকুল হক, মরহুম খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম মাহমুদুল ইসলামের সাথেও কাজ করেন।
তিনি ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অনুমতি প্রাপ্ত হন।
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি পার্বত্য তিন জেলার আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমার পরিবার একটা আইনজীবী পরিবার। আমার স্ত্রী সৈয়দা মিশকাতুল জান্নাত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের একজন নিয়মিত আইনজীবী। আমার শ্বশুর মরহুম ফিরোজ আহমেদ তালুকদার চট্টগ্রাম জেলা বারের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। এছাড়াও আমার শ্যালক শাহরিয়ার মাহমুদ সুমনও চট্টগ্রাম জেলা বার ও সুপ্রিম কোর্ট বারের একজন নিয়মিত সদস্য হিসেবে আইনি পেশায় নিয়োজিত আছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি গত ২৫টি বছর ধরে আইনি সহায়তার পাশাপাশি আমার পিতা-মাতার নামে করা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও বেকারত্ব নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। একজন পার্লামেন্ট মেম্বার (সংসদ সদস্য) যদি একজন আইনজীবী হয়, তাহলে সেটা একটা দেশের সুশাসনের জন্য সহায়ক হবে বলেও তিনি জানান।