বান্দরবান- থানছি সড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার ধসে পড়ে জেলা সদরের সাথে থানছি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গত রবিবার থেকে ভারী বর্ষন চলাকালে বান্দরবান-থানছি সড়কের চিম্বুক থেকে জীবন নগর পর্যন্ত সাতটি স্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান,গত রবিবার থেকে টানা ভারী বর্ষন শুরু হলে প্রাণহানির আশংকায় ভয়ে পাড়ার লোকজন ঘর থেকে বের হয়নি। বুধবার দুপুরে বৃষ্টি একটু কমে আসলে পাড়ার লোকজন ঘর থেকে রাস্তায় বের হলে এই ভয়াবহ রাস্তা বিধ্বস্তের ঘটনা দেখতে পায়। প্রাথুই পাড়ার কার্বারী( পাড়া প্রধান) মেনরুম ম্রো জানান, বেশী বৃষ্টি হওয়ায় বান্দরবান- থানছি সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ধসে অনেক নিচে নেমে যায়। এছাড়াও এ সড়কে আরো অনেক ছোট বড় রাস্তা ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে বান্দরবান জেলা সদরের সাথে থানছির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। থানছির গনমাধ্যম কর্মী অনুপম মার্মা জানান,ভারী বর্ষন চলাকালে চিস্বুক থেকে জীবন নগর পর্যন্ত পোড়াবাংলা,কালো পাহাড়,জীবন নগর,শীলা ঝিরি ও বিদ্যামনি পাড়া সহ অন্তত: সাতটি স্থানে রাস্তা ধসে অনেক নিচে পড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ মোট রাস্তার আয়তন ৪কিলোমিটার হবে বলে তিনি জানান।
থানছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুল মনছুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বান্দরবান-থানছি সড়কে চিম্বুক থেকে জীবন নগর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তা ধসে গভীর খাদে পড়ে যায়। গত রবিবার থেকে ভারী বর্ষন ও বন্যার কারনে বান্দরবান- থানছি সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ ছিল। ইতিমধ্যে রাস্তার ভয়াবহ ভাঙ্গন সুষ্টি হয়। বুধবার(৯ আগষ্ট) বন্যার পানি নেমে গেলেও সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার কারনে এই সড়কে গাড়ী চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান,বান্দরবান-থানছি সড়কটি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ২০ ইসিবি'র নিয়ন্ত্রনে। সড়ক বিধ্বস্তের বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটি মেরামত করতে অনেক সময় লাগবে। সেনা বাহিনী আপাতত যোগাযোগের বিকল্প ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানান।
