বাঁশখালীর সাধনপুরে ২০ বছরের পুরানো চলাচল রাস্তা কেটে ফেলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (২৫ নভেম্বর) শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত গুলশান আরা বেগমকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত গুলশান আরা বেগম সাধনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সওদাগর পাড়া এলাকার প্রবাসী নুরুল আবছারের স্ত্রী। প্রতিপক্ষ বাকের স্ত্রী জুনু, মেজবাউল হকের স্ত্রী কুমকুম ও আনছারের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এসময় আবছারের পুত্র আবদুল মান্নান এবং প্রতিবেশী আবু ছালেহও আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলায় লাঠিসোটা, লোহার রডসহ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সন্ত্রাসীরা গুলশান বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরে দীর্ঘ দিনের চলাচল রাস্তা স্থানীয় ভূমিদস্যু মিজবাহ ও বাকেরের নেতৃত্বে গত এক সাপ্তাহ আগে রাতের আঁধারে পুরানো ১২ ফিটের এই রাস্তা কেটে ফেলা হয়। নুরুল আবছারের ছেলে আবদুর রহমান অভিযোগ করেন, মরহুম মরতুজুর রহমানের ছেলে মিজবাহ ও বাকেরের নেতৃত্বে লোকজন নুরুল আবছারের পরিবারের চলাচল রাস্তাটি কেটে ফেলে। প্রায় ২০ বছর আগের এই চলাচল রাস্তা কেটে ফেলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এনিয়ে থানা ও আদালতে অভিযোগ করায় ক্ষীপ্ত হয়ে আজ প্রতিপক্ষরা নুরুল আবছারের স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। আহত আবদুল মান্নান জানান, এর আগেও ২০০২ সালে একই প্রতিপক্ষরা চলাচল রাস্তার বিরোধে আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল। সে সময় আদালত বিচারে মিজবাকে ৬ মাসের সাজা দেন। পরবর্তিতে মানবিক কারণে আমরা বাবা তাদের ক্ষমা করে দিলেও আবারো সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এমনকি ৫/৬ মাসও আগেও তারা আমাদের উপর নিষ্টুরভাবে হামলা করেছিল। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম সালাউদ্দিন কামাল জানান, দুএকদিনের মধ্যে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পরিষদে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এখন আবার হামলা ও মারামারির ঘটনা আমি খবর নিচ্ছি।
বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন পিপিএম জানান, সাধনপুরে হামলা ও মারামারির ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।