আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩শে ভাদ্র ১৪৩১

বন্দর ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক পণ্য পরিবহনের জন্য নিরাপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ ০১:২৫:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক পণ্য পরিবহনের জন্য এখন নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।  

 

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সার্কিট হাউজে বিভিন্ন পণ্য পরিবহন সমিতির নেতাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

 

৩০ হাজার শ্রমিক নিয়ে কোরিয়ান ইপিজেড, আড়াই লাখ শ্রমিক নিয়ে কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম ইপিজেড এরইমধ্যে চালু হয়ে গেছে। এ জেলায় ৫শ গার্মেন্টসের প্রায় সবগুলোই উৎপাদনে চলে গেছে।

 

সভায় বিভিন্ন পণ্য পরিবহন সমিতির প্রতিনিধিরা চালকসহ পণ্য পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা কারফিউ চলাকালীন সময়ে চলাচলের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক তাদের পরিচয়পত্র কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন। একইসাথে যানবাহনের প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শ্রমিক ও চালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।  

 

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মহাসড়কে অধিকতর নিরনাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমন্বয় সেল গঠন করা হবে। পণ্য পরিবহনে চালকদের জন্য মহাসড়কে সীমিত আকারে খাবার হোটেল চালু রাখার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তিনি।  

 

সভায় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক ট্রাক একসাথে কনভয় আকারে চলাচল করার পরামর্শ দেন। একইসাথে যে কোনও প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে (০২-৪১৩৬০৬০৪) যোগাযোগের ব্যাপারে অবহিত করেন।

 

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান বলেন, ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সাধারণ ছাত্রদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাংচুরসহ শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ব্যতীত রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় জেলায় কিছু কিছু পণ্য পরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বাধ্য হয়েই কারফিউ ঘোষণা করায় বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে শান্ত হয়ে আসছে।  

 

বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।



সবচেয়ে জনপ্রিয়