চোরাই জুতার বাজার নামে খ্যাত ছিল চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার পাশের আমতল।
অনেক দূর-দূরান্ত থেকে কাস্টমাররা এসে আমতলে কম দামে, অর্ধেক দামে, অথবা চারভাগের এক ভাগ দাম দিয়ে চোরাই জুতা ক্রয় করতে আমতলের বাজার থেকে। বাড়তে বাড়তে চট্টগ্রামের আন্দর কিল্লা মোড়, বদ্দারহাট মোড়, ২ নং গেট মোড়, বাইজিদ বোস্তামীর মোড়, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট মোড়, পুরাতন রেলস্টেশন মোড় থেকে শুরু করে পুরো চট্টগ্রাম এমনকি ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুর সব জায়গাতেই এই ব্যবসা খুব পুরোদমে চলে।
এই দোকানদারেরা বিভিন্ন জায়গায় পাতি চোরদের কাছে অগ্রীম টাকা দিয়ে রাখেন কোথাও যদি চোরাই জুতা পাওয়া যায় আমাদেরকে এনে দিবেন।
চট্টগ্রাম এলাকায় যত চোরাই জুতা বিক্রি হয় সব জুতাই জলসা মার্কেটে ধুয়ে-মুছে পালিশ করে রাস্তায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাপ্লাই করা হয়।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী বাবর কে জিজ্ঞাসা করে জানা যায় তারা পূর্বে থেকেই পাতি চোরদেরকে জামানত দিয়ে রাখেন।
কাস্টমার দেলোয়ার হোসেনের মতে ফুটপাতের এই সমস্ত দোকান যদি বন্ধ করা হতো মসজিদে, বাসা বাড়িতে, জুতা, কাপড় অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি বন্ধ হয়ে যেত। বিক্রি স্থান আছে বলে বেশি বেশি চুরি হয়।
মসজিদে নামাজ পড়তে ঢুকলেই সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে জুতা চোর হইতে সাবধান জুতা মোবাইল ফোন নিজ দায়িত্বে রাখুন। আব্দুর শুক্কুর নামে এক মুসল্লি ১২০০/ টাকা দিয়ে জুতা কিনে একদিন পরেই মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে জুতাগুলো চোরে নিয়ে যায় শুকুর মন্তব্য করেন, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার জন্য, কিন্তু মন থাকে জুতোর দিকে না জানি চোরে নিয়ে যায়, নামাজ কি হবে?
প্রশাসনের নাকের ঢোগায় দেদারসে চলছে অবৈধ ফুটপাতে জুতার দোকান। কাস্টমার মিজান এর মতে প্রশাসনের নেক নজর পড়লেই পরিবর্তন আসবে।