কক্সবাজারের পেকুয়ার পাহাড়ি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৭। এ সময় কারখানা থেকে টৈটং ঝুম পাড়া এলাকার নুরুল কাদের ছেলে আবদুল হামিদের ভাই আবদুল গফুর, মো. মুছার ছেলে বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার ছিদ্দিক মেম্বারের ছেলে নুরুল কবিরকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার রাতে পেকুয়া টৈটংস্থ ঝুম পাড়া এলাকায় র্যাব কর্মকর্তা এমএ ইউসুফ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযানের তথ্য জানান।
দুদিন ধরে এই অভিযান চালানোর কথা জানিয়ে এ র্যাব কর্মকর্তা বলেন, সেখান থেকে ৮টি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে র্যাব তথ্য পায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুম পাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র বেচা-কেনা হয়। গত দুদিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও শীর্ষ সন্ত্রাসী আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়।
এমএ ইউসুফ বলেন, অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে বন্দুকসহ আটক তিনজনকে পেকুয়া থানায় সোর্পদ করে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে স্থানীয়রা অস্ত্র উদ্ধার ও শীর্ষ তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করায় র্যাবের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সাথে আবদুল হামিদকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, কিছু সন্ত্রাসী ও অস্ত্র কারিগররা এই এলাকাটিকে অশান্ত করে তুলছে। তাদেরকে কারণে পুরো এলাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে।