আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ দেখতে চায় জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ৩০শে নভেম্বর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আপনারা সব সময় বাংলাদেশে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আগামী মাসে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে- এটা বলার জন্য কি এই পরিস্থিতি জাতিসংঘের জন্য যথেষ্ট নয়?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, আমি আপনাকে আগে যা বলেছি, তাই বলবো। বাংলাদেশি অন্য কিছু সাংবাদিককে মহাসচিবের পক্ষ থেকে বলেছি- আসন্ন নির্বাচন, যা হতে যাচ্ছে- তাতে যারা অংশগ্রহণ করছেন, এর অংশীদার, জনগণ, বিভিন্ন দল, মিডিয়া সবাইকে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে হবে।
তার কাছে আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী বাংলাদেশি জনগণ। ক্ষমতাসীন দল অভিযোগ করছে বিএনপিসহ অল্প কয়েকটি দল ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধের নামে জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাজনীতির নামে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনায় জাতিসংঘের কি কোনো পরামর্শ আছে?
এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, নির্বাচনে জড়িত সবাই, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ সবাইকে একসঙ্গে এটা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণ অবাধে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারেন। সেই সঙ্গে অবাধে ভোট দিতে পারেন। এ ছাড়াও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে ও শান্তিপূর্ণভাবে।