আজ সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নির্বাচনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৩:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের নাশকতা যাতে কেউ না ঘটাতে পারে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

 

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা যে বৈঠক হয়েছে আজকে সব দেশেই চ্যালেঞ্জ আছে, আমাদেরও চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া তাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো আমাদের জানিয়েছে। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকেও কিছুটা তাদের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরাও নাশকতা মোকাবিলার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলেছি। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বলেছি। একে অপরে যেন শেয়ার করে যাতে ঘটনা ঘটার আগেই যেন ব্যবস্থা নিতে পারে।

 

ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিশেষ করে যারা ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যেন নিরপেক্ষতা, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে যেন নিজের অবস্থান না দেখান সেটা বলা হয়েছে।

 

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বিকেলে প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী, নতুন দল বা ছোট দলের প্রার্থী ঠিকমতো প্রচার করতে পারবেন কি না বা কেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না, সে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ইসির পক্ষ থেকে ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। আপনারা নিজেরা সজাগ থাকবেন। প্রত্যেকটা কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেবেন। আমাদের অনেকগুলো সাবকমিটি আছে তারা মনিটরিং করবেন। অতএব কোনো না কোনোভাবে আমাদের নজরে আসবে, কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

 

বড় পক্ষের (বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন) নতুন কর্মসূচি, প্রার্থীরা তো আছেই আপনারা কতটুকু শঙ্কিত, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীরা এ বিষয়ে খুব একটা শঙ্কা দেখাইনি। তারা বরং উপদেশ দিচ্ছেন যে কমিশন যাতে শঙ্কিত না হন। আমাদের তারা আরও সাহস দিয়েছেন, তারা শঙ্কিত নন। আমরা মোটেই শঙ্কিত নই।

 

জ্বালাও-পোড়াও বাড়লে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ১৪ জেলায় ঘুরলাম। এমন কিছু দেখিনি, যা দেখি মিডিয়ায়। স্বাভাবিক জীবনযাপন দেখেছি। মানুষ ভোটকে অনেক উৎসাহের সঙ্গে দেখছে। মিছিল দেখেছি, সভা করতে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো নির্বাচনের বিপক্ষে কোনো অনুষ্ঠান বা কথা বলতে আমি দেখিনি।

 

পুলিশ কী চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে, জানতে চাইলে সাবেক ওই ইসি সচিব বলেন, তারা ক্ষমতাসীন দল ও তার স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ইতিবাচক অর্থে উত্তেজনামূলক হবে বলেছে।

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকা নির্বাচনে তো র‌্যাব ও পুলিশ থাকে না। এবার যেহেতু একটা দল আসছে না, তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন বাতিলের একটা হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেটার একটা চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলোকে মোকাবিলা করে কীভাবে নির্বাচন করা যায় এবং ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে আসে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনে আনন্দমুখর পরিবেশ আছে।

 

আপনারা কী ভয় পাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেই না।

 

সকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বিকেলে ঢাকার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।