আজ রবিবার ৫ মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির যেসব দলছুট হেভিওয়েট

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। তবে তাদের অনেক নেতা নির্বাচনে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বেশকয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন। যারা কয়দিন আগেও সরকার পতনের আন্দোলনে শামিল ছিলেন।

 

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া অন্তত তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, দুইজন উপদেষ্টা, কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে কেউ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, কেউ তৃণমূল বিএনপি আবার কেউ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া বিএনপি নেতার সরাসরি নৌকা প্রতীক নিয়েও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘটনা ঘটছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চমক দেখান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। এর ফলে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বলেছেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে যাচ্ছে না। তাই তিনি নৌকা প্রতীক নিয়েই ভোটে অংশ নেবেন।

 

অন্যদিকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি।

 

এ ছাড়া বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। ব্রহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন তিনি।

 

পাশাপাশি বিএনপি থেকে বেরিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচন করছেন দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এই মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

এ ছাড়া বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা আরও অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়া-৪ আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ টাঙ্গাইল-৬ আসনে, সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে বড় পদপদবি না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

 

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এত বড় দল থেকে দুই-চারজন বেরিয়ে গেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। সরকারের চাপে পড়ে যে কজন বেরিয়ে গেছেন, তাদের ছাড়াই দল ভালো মতো চলবে।