আজ মঙ্গলবার ৭ মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১

নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১:৪৫:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।

নিখিলের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বিষয়টি  সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, এর মধ্যদিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

এর আগে গত ২০ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন নিখিল রঞ্জন ধর। ওই সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওইদিন ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন নিখিল রঞ্জন ধর। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি দিন রাখা হয়েছিল ৫ এপ্রিল।

এ মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সে সময় নিখিল রঞ্জন ধর পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গত ৫ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান নিখিল রঞ্জন ধর।

২০২১ সালের ৬ নভেম্বর ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। গত ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

প্রশ্নফাঁসের এ মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, আব্দুল্লাহ আল জাবের, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী রবিউল আউয়াল, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহম্মেদ বাবুল, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি। 

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীনে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের ওই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। তবে পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়।