বার্মিজ ইয়াবা টেবলেট ও সুপারী পাচার ও জব্দের ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায়। এতে আসামী করা হয়েছে ৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মেম্বার ও ছাত্রলীগ কর্মি সানীও রয়েছে।
পুলিশ জানান, মামলা ২ টি হয়েছে মঙ্গলবার সকালে ও সোমবার গভীর রাতে।
সোমবার গভীররাতে করা মামলায় ইয়াবা জব্দ আছে ১৮ হাজার ২ শত ৫ টি। এতে আসামী ৫ জনকে । এ অভিযানের মামলা নম্বর ১০। এদের মধ্যে আটক আছে ১ জন আসামী । তার নাম কামাল হোসেন। এ মামলায় অপরাপর আসামীদের মধ্যে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন। তিনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারও। অপর আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী মেহেদি হাসান সানী এবং গরু চোরাকারবারী সেন্ডিকেটের প্রধান সোর্স ও চিহ্নিত ইয়াবা আর চোরাই গরুকারকারী আবদুশুক্কর । এ মামলার বাদী ১১ বিজিবির হাবিলদার মোঃ আবদুল মালেক।
অপর মামলা ১৫ শত ৩৪ কে.জি সুপারি
নিয়ে করা হয়। যার নম্বর-১১ তারিখ- ১৮ /৭/২০২৩ ইংরেজি। এ মামলায় আমাসী করা হয় ৩ জনকে। এখানে আটক আছে ১ জন। তার নাম আবদুল গফুর (২৫)। এ মামলায় ২ নম্বর আসামী ছাত্রলীগের সেই নেতা মেহেদী হাসান সানীও।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফখরুল ইসলাম ও এসআই রাকিবুল হাসান এ প্রতিবেদককে জানান,পলাতক ৬ আসামীকে আসামীকে আটকের জোর চেষ্ঠা চলছে।
এদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়নের আনন্দ শুভাযাত্রা শেষে আয়োজিত সভায় এ প্রতিবাদ জানান। এতে তিনি বলেন,তার দলের এ দুই নেতা নিরীহ। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।