আজ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১২ , এক জনের অবস্থা আশংকাজনক

মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, চন্দনাইশ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:১৯:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দূর্গম পাহাড়ি জনপদ ১০ নং ধোপাছড়ি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টায় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ৬ নং ওয়ার্ডস্থ ধোপাছড়ী বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নেন বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী  মোরশেদুল আলম ।

এসময় তার দিকে গালিগালাজসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব‍্যবহার করে তার দিকে এগিয়ে আসে জনৈক ব্যাক্তি। এ সময় মোরশেদের সাথে থাকা লোকজন তাকে রক্ষার জন‍্য চেষ্টা করে। এদিকে এখবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর মোরশেদের সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। এ সময় প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলীমের সমর্থকরাও এগিয়ে আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় দু'পক্ষের সমর্থকদের বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের স্হানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়।

গুরুতর  আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গুরুতর আহতের মধ্যে  একজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন- জাহাঙ্গীর (৪০), জমির উদ্দীন (৩০), কাঞ্চন (২৫), আবছার (৪২), সাজ্জাদ (৩৫), শাহাদাত (২৮), শাহেদ (২৫), সাজ্জাদ (২০), মোজাম্মেল (৩৫)।

 

মোরশেদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,  ছামাছড়ি এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি আসার খবর পেয়ে তাঁদের সাথে দেখা করতে আসি। এসময় তাঁদের বিদায় জানিয়ে স্থানীয় জাহাঙ্গীর সওদাগরের কাপড়ের দোকানে বসলে হঠাৎ জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই আরিফ আমাকে দেখে অশালীন আচরণ করে এবং আটকে রাখার চেষ্টা করে। এ খবর এলাকাবাসী ও সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আমাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসার পথে আলীমের সমর্থরা আমার কর্মীর উপর হামলা চালায় ও  ৬ জন সমর্থককে ছুরিকাহতসহ মারধর করেছে। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আলীম বলেন, মোরশেদ চেয়ারম্যানের এলাকায় গণসংযোগ করতে গেলে তার সমর্থকদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার  সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে।

এসময় আমাকে ঘন্টাব্যাপী আটকে রেখেছেন পরে নেতাকর্মী ও পুলিশের সহযোগীতায় তিনি উদ্ধার হয়েছেন বলে জানান। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। চন্দনাইশ থানার ওসি ( তদন্ত ) মজনু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্হা গ্রহন করা হবে।