কক্সবাজারের টেকনাফে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি।
১৪ ও ১৫ জুলাই পৃথক অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২ বিজিবি ) জওয়ানরা ইয়াবাগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান- গোপন সংবাদে শুক্রবার ও শনিবার নাজিরপাড়া বিওপি'র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম -৫ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিকে আলুগোলা নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে । এ তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং নাজিরপাড়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায় কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আলুগোলা ( ভাংগা ) মাছের প্রজেক্টের আইলের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে । এসময় রাত ১১ টারদিকে টহলদল তিনজন ব্যক্তিকে তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রজেক্টেরদিকে আসতে দেখে । তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা তিনটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দিয়ে কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায় । পরে টহলদল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া তিনটি পলিথিনের ব্যাগ হতে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান- অভিযান চলাকালীন একই স্থান দিয়ে আরোও একটি মাদকের চালানের সংবাদ পেয়ে আলুগোলা ( ভাংগা ) মাছের প্রজেক্টের আইল, কেওড়া বাগান এবং বেড়ী বাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। শনিবার ভোর সাড়ে ৬ টারদিকে নাফ নদী পার হয়ে তিনজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের বল্তা কাঁধে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে বর্ণিত স্থানের দিকে ( আলুগোলা মাছের প্রজেক্ট ) আসতে দেখে । ওই পাচারকারীরাও বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে মাদকের বস্তা ফেলে নাফ নদীর পার্শ্বে অবস্থিত ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায় । পরে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভিতর হতে আরো ১লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ( মালিকবিহীন অবস্থায় ) জব্দ করা হয় । উক্ত পৃথজ অভিযানে জব্দকৃত সর্বমোট ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে
প্রয়োজনীয় আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে ।