চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বার কাউন্সিল কর্তৃক বিগত ২০২১ সালে তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের নিয়ে নবীন বরন ও কর্মশালা ২২ জানুয়ারী শনিবার কোর্ট হিলস্থ আইনজীবী অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হক, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন, সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল আল মামুন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বার কাউন্সিল এডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক। এছাড়া প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, রতন কুমার রায়। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি আলী আশরাফ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক এস.এম. অহিদুল্লাহ, পাঠাগার সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাহমুদ-উল আলম চৌধুরী (মারুফ), নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে ফাতেমা নার্গিছ হেলনা, মারুফ মোঃ নাজেবুল আলম, এস এম আরমান মহিউদ্দিন, আবু নাসের রায়হান, সাহেদা বেগম, খায়রুন নেছা, জোহরা সুলতানা (মুনিয়া), নুর কামাল, মোঃ সরোয়ার হোসাইন (লাভলু), মোমেনুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আইনজীবী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আইনজীবী পরিবারের সন্তান। আইনজীবীদের পেশাগত মান মর্যাদার বিকাশে আমি সর্বদা সজাগ থাকি। আইনমন্ত্রী চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ দিবেন মর্মে যে ঘোষণা দিয়েছেন সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমি আশা করছি খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন হবে। সম্প্রতি র্যাবের ভূমিকা নিয়ে যারা কথা বলছেন তারা আসলেই চান এই দেশ সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের অভয়ারন্য হোক। কারিগরী সহায়তার মাধ্যমে র্যাবকে কাজে লাগিয়ে সকল অপশক্তি রোধ করতে আমার সক্ষম হয়েছি।
নবীন সদস্যদের পদচারণায় আইনজীবী সমিতি আজ মুখরিত এবং নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ- সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা করছি। আইনজীবী সমিতির কাজের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনজীবীদের পেশাগত কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে চেম্বার সংকট নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহিত বিরোধের বিষয়টি অতি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তথ্য মন্ত্রী বক্তব্য শেষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রস্তাবিত একুশে ভবনের জায়গা পরিদর্শন করেন এবং কাজ শুরুর বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।