চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জনবহুল খাঁনহাট - বড়ুয়াপাড়া সড়কটি প্রায় দুইযুগ ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
উপজেলার চট্টগ্রাম - কক্সবাজার মহাসড়কের খাঁনহাট - বড়ুয়াপাড়া হয়ে গাছবাড়ীয়া - বান্দরবান সড়ক সংযুক্ত দেড় কিলোমিটারের এই সড়কটি প্রায় দুইযুগ ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে। এলাকাটির ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবি। পুর্বে পাহাড়ি এলাকায় লেবু, পেয়ারা, ধানচাষ সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জী চাষ এবং বিশেষ করে খাঁনহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে যাতায়াতের জন্য কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের এই সড়কটির সংস্কারের অভাবে বিকল্প পথে যাতায়াতে গুনতে হয় দ্বিগুন খরচ ও সময়।
তাছাড়াও এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী, কৃষিপন্য বহন, সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এলাকাবাসীদের অভিয়োগ মাননীয় প্রধানমন্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সারাদেশসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কি যেন অদৃশ্য কারনেই এই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না। ওই এলাকার বাসিন্দা নয়ন বড়ুয়াসহ কয়েকজন এলাকাবাসির অভিযোগ , প্রতিটি নির্বাচনে জন প্রতিনিধিরা এই রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে ভোট চাইতে এলেও নির্বাচনের পরে কিন্তু আর তারা এই রাস্তাটির খোঁজখবর রাখেন না। বড়ুয়া পাড়ার আরেক বাসিন্দা বিশিষ্ট যাদুশিল্পী সুবক বড়ুয়া বলেন, আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় হয়ত আমাদের একমাএ যোগাযোগের মাধ্যম এই রাস্তাটির কেউ খোঁজখবর নেয় না।
এ ব্যাপারে হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট খোরশেদ বিন ইছহাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করি। এবং উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে টেন্ডাররের জন্য প্রস্তাব করি। বর্তমানে এই রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জুনায়েদ আবছার চৌধুরীর সাথে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে আইআরআইডিপি-৩ এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবাধীন রয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে কাজ আরম্ভ হবে।