সমাবেশের ১০দিন বাকি। ৪ ডিসেম্বর নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ সমাবেশ হবে।
১৫ নভেম্বর থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। মাঠের চারপাশের ভবন ছাড়াও নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় রাস্তা ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। দলীয় সভানেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। সমাবেশ সামনে রেখে চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে তৈরি করা হচ্ছে তোরণ। সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে চট্টগ্রামে এটিই প্রথম জনসভা। এই জনসভার পর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ততার কারণে চট্টগ্রামে আর নাও আসতে পারেন। তাই এই জনসভার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে দেওয়া হবে ভোটের বার্তা। একইসঙ্গে মিলবে নতুন দিক-নির্দেশনা। আওয়ামী লীগের বৃহত্তম এই জনসমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী যোগদান করবেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশে যোগদান করবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাদের সমন্বয় করছেন। উত্তর চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা থেকে জনসভায় যোগ দিতে বাস-ট্রাক ভাড়া করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মঞ্চে কেন্দ্রীয়, নগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা থাকবেন; সেটা ২৯ নভেম্বরের পরে জানা যাবে। সমাবেশের জন্য আমাদের প্রচার-প্রচারণা চলছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ৪ ডিসেম্বর জনসভাকে জনসমুদ্র পরিণত করার জন্য আমাদের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা চলছে। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মঞ্চ তৈরির দায়িত্বে থাকা চিটাগং ইভেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ রাসেল বলেন, নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। নৌকার দৈর্ঘ্য ৮৮ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট। মূল মঞ্চের সামনে থাকবে ১৬০ মিটার লম্বা একটি নৌকা। ১৫ নভেম্বর থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দৈনিক ৭ থেকে ১০ জন কাজ করছেন।
মঞ্চ তৈরির কারিগর শ্যামল বলেন, আগেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার মঞ্চ তৈরি করেছি। পটিয়ার মঞ্চও আমার হাতে তৈরি। এই মঞ্চসহ একাধিক মঞ্চ আমি তৈরি করেছি। এজন্য গুরুত্ব দেই ভালো উপকরণ ও গাঁথুনিকে।