আজ বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, বাবার অবস্থা শঙ্কাজনক

এম.মনছুর আলম,চকরিয়া : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১০ অগাস্ট ২০২৩ ০৩:৩২:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে শাহাদাত হোছাইন (৪৮) ও শহিদুল ইসলাম (১৯) নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। 

এসময় তাদের বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার হোসেন (৭০) উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

বুধবার (৯ আগস্ট ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত ও শহিদুল ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের বড় ও ছোট ছেলে।

 

বিএমচর ৪নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ ঘটনার বিষয়ে সেপটিক ট্যাংক পড়ে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে এশার নামাজের পরে  আনোয়ার হোসেনের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন তাদের বড় ছেলে শাহাদাত হোছাইন। সে ট্যাংক পড়ে গেলে তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ট্যাংকে ডুকেন। ওই সময় দুই ছেলেকে দেখতে না পেয়ে তাদের বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার হোসেনও ট্যাংকে ডুকে পড়ে। এতে তারা চিৎকার করলেও বাড়ির কোন লোকজন তাদের আওয়াজ শুনতে পাইনি। পরিবারের সদস্যরা তাদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আসতে বিলম্ব কেন দেখতে গেলে তাদের এহেন করুণ অবস্থা দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় সেপটিক ট্যাংক থেকে দ্রুত উদ্ধার করে চকরিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুু'জনকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শাহাদাত হোছাইন ও শহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করেন। বর্তমানের তাদের বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার হোসেন (৭০) অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আনোযার হোসেনের দুই ছেলের মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মিজানুর রহমান নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

 

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনগত প্রক্রিয়ায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।