‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার (৫নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকা থেকে সমবায় র্যালী বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নবনির্মিত হলরুম 'সুগন্ধা' মিলনায়তনে গিয়ে র্যালীটি শেষ হয়। র্যালী শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্বোধন করা হয়। দিবসটি ঘিরে উদ্বোধনের পর পরই এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে সমবায় পরিদর্শক তপন দাশ ও সাংবাদিক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত র্যালীতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি। উক্ত অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবতী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোছাইন, চকরিয়া দর্পণ সমিতির সভাপতি ডা: তেজেন্দ্র লাল। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে উপজেলা সমবায় দপ্তর ৩৯৬টি সমবায় সমিতির মধ্যে থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৩ জন ব্যাক্তিকে শ্রেষ্ট সমবায়ী পুরস্কার এবং ছয়টি সমবায় সমিতিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট সমবায় সমিতির ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমবায় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামকে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সমবায় সমিতির মাধ্যমে শেয়ার ও সঞ্চয়, পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ সামগ্রীক আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। একক প্রচেষ্টায় যা করা অসম্ভব, সমবায়ের মাধ্যমে তা সহজেই করা সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সমবায়ের আদর্শে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করে সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় সরকার উৎপাদনমুখী ও টেকসই উন্নয়নে সমবায় সেক্টর গুরুতপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখবে হবে বলে বক্তরা জানান।##
