আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ: ইস্টার্ন ব্যাংক কর্মকর্তার ৫৪ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৬ অগাস্ট ২০২৩ ১০:৫৭:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের চান্দগাঁও শাখার এক গ্রাহকের ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ওই শাখার তৎকালীন প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবিরকে ৫৪ বছর কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই মামলায় আরও চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

তাদের মধ্যে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে জাকির হোসেন বাপ্পীকে ১১ বছর কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল মাবুদকে ৬ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ১৮ লাখ ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, খুলশী থানার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসানকে  ৬ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং হাটহাজারী উপজেলার আবুল খায়ের চৌধুরীর ছেলে আজম চৌধুরীকে ৬ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (৬ আগস্ট) বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড চান্দগাঁও শাখার সালাউদ্দিন নামে এক প্রায়োরিটি গ্রাহকের কাছ থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ইফতেখারুল ফিক্সড ডিপোজিট খোলার কথা বলে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কাজে অন্যান্য আসামিরা এসব টাকা উত্তোলনে সহযোগিতা করেছেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর পর মামলাটি দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. ফজলুল বারী মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে।

 

দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, মামলাটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়ায় দুদক প্রসিকিউশনের পক্ষে ১৯ জন, আদালতের পক্ষে দুজন এবং সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ৪ জন। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাজা দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানামূলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।