আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খাস জমিতে আইনজীবীদের ভবন অনুমোদন, ফাঁসছেন সিডিএর কর্মকর্তারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন | আইন-আদালত

নগরের কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতির পাঁচটি ভবন নির্মাণের সুযোগ করে দেওয়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের খুঁজছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও নতুন করে আরও দুটি ভবন তুলতে চায় সমিতি।

 

তাদের এসব ভবন অপসারণের জন্য সরকারের ২৫টি দফতর থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।  

অবৈধভাবে কোর্ট হিলে সরকারি খাস জমিতে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে সিডিএর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।  

গত ৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহমুদুর রহমান হাবিব সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমিতে আইনজীবীদের পাঁচটি বহুতল ভবন অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত সিডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ( স্থায়ী/ বর্তমান ঠিকানা), মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। একই চিঠিতে অনুমোদন দেওয়ার সভার কার্যবিবরণী, অনুমোদনের কপিসহ আরও বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা ও নথিপত্র পাঠাতে বলা হয়।

 

 জেলা প্রশাসন বলছে, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৮-০৯ এবং ২০১৪-১৫ সালে পরীর পাহাড়ে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমিতে বিধি-বহির্ভূতভাবে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করে সিডিএর কিছু কর্মকর্তা। সমিতির সদস্য বেড়েছে এমন কারণ দেখিয়ে গত বছরের আগস্টে আইনজীবী সমিতি আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তখন সেটিতে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পরে সরকারের ২৫টি দফতর থেকে চিঠি দিয়ে কোর্ট হিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার সিডিএর জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠা ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনকে আবারও চিঠি দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূরুল আমিন ১১ এপ্রিল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে এই চিঠি দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের এর আগেও পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চিঠি দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয় একটি ১ (ক) শ্রেণিভুক্ত কেপিআই প্রতিষ্ঠান। সেজন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।