আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে ১১ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১ জুলাই ২০২২ ০৬:০২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়িতে ১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রায় দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। এ অর্থবছরে আদায় না হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ বিভাগ।

খাগড়াছড়ি জেলা বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান হিসাবরক্ষক উত্তম কুমার দে জানান, ১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রায় দেড় কোটি টাকার বকেয়া বিল আদায়ের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

গত ১লা জুন একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের লাইন কেটে দেওয়ার নিদের্শ দেন। এরপরই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিস পাঠায় খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ বিভাগ। নোটিস পেয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মতো পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

এখন পর্যন্ত বিল পরিশোধ না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। তাদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ টাকা। এছাড়া খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নিকট প্রায় ১১ লাখ টাকা, সদর উপজেলা পরিষদের নিকট প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি অফিসের নিকট প্রায় পাঁচ লাখ টাকা, কৃষি বিভাগের নিকট প্রায় চার লাখ টাকা, জেলা প্রশাসনের নিকট তিন লাখ টাকা, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নিকট আড়াই লাখ টাকা করে বকেয়া বিল রয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট প্রায় দুই লাখ, টিঅ্যান্ডটি-র নিকট দেড় লাখ, জেলা কারাগারের নিকট ৭০ হাজার বকেয়া রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগকে চলতি বছর ৫২ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। আরও বকেয়া আছে। বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেগুলো পরিশোধ করা হবে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, সদর উপজেলার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় সব দফতরকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকে বকেয়া বিল পরিশোধ করেছে। আর অনেক অফিস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের কিছু বিল বাকী আছে। তা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অবস্থানকালীন সময়ের সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে। সঠিক তথ্য পেলে বিল আদায়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান বলেন, নানা কারণে ১০ লক্ষাধিক টাকা বকেয়া ছিল। এখন প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা বকেয়া রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার বলেন, লিখিতভাবে জেলার ১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বরাবর বকেয়া পরিশোধের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। অনেকে আংশিক বিল পরিশোধ করেছে। এখনও ৮০ লাখ টাকার মতো বকেয়া বিল রয়েছে। সময়মতো পরিশোধ করা নাহলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ।