চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ ও ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন।
কর্ণফুলী প্রতিনিধি জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগের দিন মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের সকল আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে; আনসার, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব সমন্বয়ে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা।
জানা যায়, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটদানের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৭২ জন ভোটার। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুইজন আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, এই উপজেলায় ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, ৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানায়, পৌরসভা নির্বাচনে ১৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ১৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভোটগ্রহণে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে প্রশাসন। বুধবার সকাল ৯টায় ধুরুং কে. এম. টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মহিলাদের দীর্ঘ লাইন।
সেখানে ভোট দিতে আসা সালমা বেগম ও আরিফা আকতার জানান, কোনো ধরনে প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে তারা ভোট দিচ্ছেন।
জানা যায়, একজন পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চার এএসপি নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা তদারক করবেন। ১৯ ভোট কেন্দ্রে ৩১ জন ওসি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকছে দুই প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য।
নির্বাচনী অঞ্চলকে দুইটি জোনে বিভক্ত করে ৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে।
তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ৩৬ হাজার ২৪৬ জন ভোটার ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিশেষ করে ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও কেন্দ্রগুলোতে সিটিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করায় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।