সাম্প্রদায়িক ইস্যু তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে স্বৈরাচারী চক্রটি। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা সুপরিকল্পিতভাবে হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আন্দোলনকারী কোন শিক্ষার্থী কিংবা দেশের সাধারণ মানুষ জড়িত নয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশ্ব দরবারে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যেই গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে দেশবিরোধী চক্র।
শনিবার (১০ আগষ্ট) বিকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার প্রেতাত্নারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামনে এনে দেশের ভেতরে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তোলার পাঁয়তারায় মেতেছে। ছাত্র-জনতা সব ধরণের চক্রান্ত রুখে দিবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক রবিউল হাসান, সাগর ইসলাম ও আজিমা ইমা।
তারা বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে যখন দেশের সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের সরকার গঠিত হয়েছে, ঠিক তখনই সংখ্যালঘুর ধোয়া তুলে শান্ত পরিবেশ নস্যাৎ করতে চায় আওয়ামী লীগ। কোন অপশক্তির ঠাই বাংলাদেশে হবে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নবগঠিত প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ।
ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক এম আর মাহবুব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাহার ইকবাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, ক্লাবের সদস্য মুহাম্মদ আবু ছিদ্দিক ওসমানী, সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল হক শারেক,
দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক ও অধ্যাপক মইনুল হাসান পলাশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ট্রাফিকিং, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও থানা থেকে লুটকৃত বিভিন্ন যানবাহন উদ্ধারে প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, ডিএসএ'র সদস্য এম জাহেদ উল্লাহ, আবছার কামালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কক্সবাজার ঈদগাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম।