টানা ছুটিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা। তাই ছুটির শেষ দিনে কক্সবাজারে কমেছে পর্যটকের সংখ্যা। বর্তমানে আবাসিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যটক ছুটির শেষ সময়টা পার করছেন। তবে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মূল তিনটি পয়েন্টে আজও প্রচুর পর্যটক ভিড় করেছে। সকাল থেকেই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে গা ভেজাচ্ছে তারা। আবার কেউ ওয়াটার বাইকে ঢেউয়ের বাইরে সমুদ্রের একটু গভীরে গিয়ে ডু মেরে আসছেন। পর্যটকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখার মতো।
এবার পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তায় কাজ করেছে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তাছাড়া বিচকর্মী ও লাইফগার্ড সদস্যরা সৈকতে পর্যটকদের সেবা প্রদান করেন।
তবে এবারও বেশকিছু আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ইতোপূর্বে অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের সমিতির অনুরোধ উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে। তাই এসব চিহ্নিত হোটেলগুলোকে সমিতি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ‘অভিসার’ নামের একটি আবাসিক হোটেলকে জরিমানাও করেছে।
এদিকে ছুটির শেষ দিনে আজ সকাল থেকে পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করেছেন। এসব পর্যটক আজ রাতেই কক্সবাজার ছেড়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছবেন। তেমনটি জানিয়েছেন কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান। তিনি জানান, টানা ছুটিতে পর্যটন খাতে ৫০০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।