আজ বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

এবার জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে প্রধান মন্ত্রীর বরাবর এ্যাডিশনাল পিপি কামালের খোলা চিঠি

মো.আলী আকবর | প্রকাশের সময় : শনিবার ৮ জানুয়ারী ২০২২ ১১:০৪:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাইয়া দেওয়ার বিনিময়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চান্দঁগাও -বোয়ালখালী আসনের সংসদ মোসলেম উদ্দিন আহমদের হয়ে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেন কবির ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহণের অভিযোগ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জজ আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট কামাল উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার  নিজ পেইজ বুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাস দেন যা মুহূর্তে মধ্যে  ভাইরাল হয়ে যায়।আর তা নিয়ে দেশের প্রথম সরির সংবাদ মাধ্যম গুলো  সংবাদ প্রচার করে। তবে  এমপি মোসলেম উদ্দিন ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেন কবির উভয় টাকা নেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন এবং  এডভোকেট কামাল উদ্দিনে বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানন গণমাধ্যম কে। এদিকে এডিশনাল পিপি কামাল উদ্দিন ৮ ই ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে তার নিজস্ব ফেইসবুক ওয়ালে  নিজের  জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটি খোলা চিঠি লিখেন তা নিন্মে হুবহু তুলে ধরা। 

খোলা চিঠি, 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, 

জননেত্রী শেখ হাসিনা 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সভানেত্রী, বাংলাদেশ আওয়াীলীগ।

বিষয়ঃ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আপনার কাছে সহযোগিতার আবেদন। 

জনাব, 

বিনীত নিবেদন এই যে,আমি অত্র খোলা চিঠি প্রদানকারী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন, অ্যাডভোকেট ও এ্যাডিশনাল পিপি, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট ও সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ একজন আপনার বিশ্বস্ত কর্মী হয়।আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে ভালবাসার কারণে ১৯৯৫ সালে জামাত শিবিরের দূর্গখ্যাত সাতকানিয়ায় জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীরা আমাকে আক্রমণ করে মৃতভেবে আমাকে খালের মধ্যে ফেলে চলে যায়।কিন্তু আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ে আমি বেঁচে গেলেও এখনও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। ছাত্রলীগ করার অপরাধে ২০০১- ২০০৬ সাল পর্যন্ত বি এন পি ও চারদলীয় জোট সরকারের সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে দীর্ঘ ৫ বছর নিজ গ্রামে যেতে পারিনি। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ও জনগণের রায় নিয়ে আপনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে আমি আমার জন্মস্থান আমার নিজ গ্রামে যাওয়ার সুযোগ পাই।আমি ১৯৯৪ সালে থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি 

।এরই অংশ হিসেবে আমি ছাত্র ও যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিট এর দায়িত্ব পালন করেছি।বর্তমান এ আমি দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমাদের  চট্টগ্রাম জেলাস্থ সাতকানিয়া উপজেলার আওতাধীন ১৭ নং সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচন ও অনুষ্ঠিত হবে।আমি উক্ত নির্বাচন এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম।আমি ইউনিয়ন পরিষদ এ নৌকা প্রতীক পাইয়ে দিবে বলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের প্রতিনিধি সাতকানিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেইন কবির মারফত নগদ ১৫ লক্ষ ও পনের লক্ষ টাকার একটি চেক গ্রহণ করে। মনোনয়ন কনফার্ম হওয়ার পর চেকটি পাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন ত দূরে থাক কেন্দ্রে আমার নামটি পর্যন্ত না পাঠানোর ফলে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে আমার টাকা ও চেক ফেরত চাইলে তারা লেনদেনের কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ৬ই জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট ফেসবুকে দিলে মোসলেম উদ্দিন ও হুসেইন কবির এর বিভিন্ন সন্ত্রাসী এখন আমাকে মারিবে,কাটিবে,হত্যা করে লাশ গুম করিবে ও আমাকে ও আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে মর্মে হুমকি দিচ্ছে। তাহাদের এমন হুমকি ধমকিতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগিতেছি।তারা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবার এর ক্ষতি সাধন করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের মা এবং তৃণমূল এর আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্হল।

শুধু আমি নয়,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ( ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে) সব প্রার্থী মুসলিম উদ্দীন গংদের মনোনয়ন বাণিজ্যের কাছে জিম্মি ও অসহায়।প্রিয় নেত্রী, আশাকরি আপনি তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিবেন যাতে ভবিষ্যতে কেউ স্বাধীনতা, সার্বভোমত্বের প্রতীক নৌকা নিয়ে বাণিজ্য করার দুঃসাহস না দেখাই।

তাই, আমি একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে এ খোলা চিঠির মাধ্যমে আপনার সহযোগিতার মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবার এর নিরাপত্তা চাই। 

পরিশেষে আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় নেত্রী।

ইতি, আপনার বিশ্বস্ত 

মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন। 

জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। 

বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হউক।

এই খোলা চিঠি সম্পর্কে দৈনিক সাঙ্গুর পক্ষে হইতে তার ব্যবহিত শেষে ৪৮ ডিজিটের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।