আহলুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফয মাদরাসা কক্সবাজারের হিফয সমাপন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৫ জুন) সকালে শহরের তারাবনিয়ারছড়া মসজিদ সংলগ্ন ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ, খ্যাতনামা আলোচক মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল হক জিহাদি।
তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন মানব জাতির হেদায়েতের গ্রন্থ। কুরআনের সংস্পর্শে আসলে জিরো ব্যক্তিও হিরো হয়ে যায়। আর কেউ কুরআনের সাথে বেয়াদবি করলে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন পোকখালী মাদরাসার শাইখুল হাদিস ও তারাবনিয়ারছড়া জামে মসজিদের খতীব মাওলানা অলি আহমদ।
তিনি সঠিকভাবে কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ, প্রচার এবং সে অনুযায়ী জীবন গড়ে তুলার আহবান জানান। বলেন, হাফেজ কুরআন হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে আলেমে পরিণত করতে হবে। তাহলেই কুরআন মুখস্ত করার সার্থকতা আসবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বদর মোকাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এমদাদ উল্লাহ, সিকদার মহল জামে মসজিদের খতীব মাওলানা নুরুল হুদা, কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, সিবিএনের বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর, বায়তুর রিদওয়ান জামে মসজিদের খতীব ক্বারী রিদওয়ান হোসাইনী।
অভিভাবকদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমানুল হক আমান,
সেনা সদস্য কামাল উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আল নুরী, মোহাম্মদ এমরান কবির।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে শওকত ওসমান আরবি এবং মনিরুজ্জামান সিকদার তাসনিম ও রাফায়েল রানা ইংরেজি ভাষায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সবক প্রদান করেন বদর মোকাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এমদাদ উল্লাহ।
মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ রিয়াজের পরিচালনায় হিফয সমাপন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আহলুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফয মাদরাসা কক্সবাজার গত জানুয়ারিতে যাত্রা করেছে। প্রথম বারের মতো ৩ জন শিক্ষার্থী হিফয সম্পন্ন করেছে। তারা হলো, প্রিন্স মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ আল হাসনাইন ও ফারেছ আল আমজাদ। তাদেরকে মাদরাসার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা শফিউল হক জিহাদি।