আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩শে ভাদ্র ১৪৩১

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১ জুন ২০২৪ ১২:৩২:০০ পূর্বাহ্ন | দেশ প্রান্তর

হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী যুবকের কাছে থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক সাঙ্গুর নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক মাহমুদ আল আজাদ কে হত্যা করতে অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগ 

 

 

শুক্রবার (৩১ মে) রাত ১০টার দিকে পৌরসভার উপজেলা মেডিকেল গেইট থেকে তাকে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। 

 

 

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আল আজাদ নিজের হেফজখানা থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য পাশের মেডিকেল গেইট দোকানে গিয়ে চা নাস্তা খাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে আবারও তার মাদ্রাসায় চলে আসার সময় ৩/৪টি সিএনজি অটোরিকশা যোগে ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে সিএনজি অটোরিকশা করে নিয়ে যেতে চাইলে তার চিৎকার শুনে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলেই তারা পালিয়ে যায়। 

 

 

সাংবাদিক মাহমুদ আল আজাদ বলেন, আজ (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে মেডিকেল গেইট এলাকায় ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে  যেতে চেয়েছিল। আমার কিছু সহকর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এই অপহরণকারীদের থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সন্ত্রাসী দল আমার উপর হামলা করেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও স্থানীয় এক শ্রমিক লীগ নেতা কামালের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করার নিউজ করলে আমার উপর ক্ষেপে যায়। বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কৌশলগতভাবে আমাকে অপহরণ করতে চেষ্টা করেছে তার ছেলে আরমানের নেতৃত্বে। আমি গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের হুমকির কারণে আমার বাড়িতে যেতে পারছিনা। আমার বাড়িতেও প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন স্লোগান গালাগালি করে আসছে আমার পরিবারের উপর। তারাও নিরাপদ নেই। আমি আইনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় তারা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।

 

 

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান রাত ১২টার দিকে জানান, সাংবাদিক মাহমুদ আল আজাদ আমাকে ফোন করেছিলো। তখন আমি ব্যস্ত থাকার কারণে কথা বলতে পারিনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।