আজ বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

আমরা সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই: সিইসি

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:১৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই। যারা সংলাপে অংশ নেননি, ইচ্ছা পোষণ করলে তাদের কথাও শোনার চেষ্টা করবো।

 

শনিবার (০৪ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে বসে তিনি দলগুলোর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।  

 

সিইসি বলেন, আমরা কম সময় নিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। দ্রুততার কারণে কোনো দল অংশগ্রহণ নাও করতে পারে। তারা যদি ইচ্ছা পোষণ করেন, কমিশনে আলাপ করে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করবো। কারণ আমাদের ইচ্ছে আমরা সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই।

 

তিনি বলেন, নির্বাচনের বড়জোর দুমাস সময় আছে। আমাদের কিছু কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে যে প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করেছি, তা আপনাদের অবহিত করার জন্যই এই আয়োজন। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এবং নির্বাচনের প্রধান অংশীদার।

 

নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে এসে এই সংলাপের আয়োজন করেছে। এতে সকালে ২২টি এবং বিকেলে ২২টি দল অংগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দল অংশ নিয়েছে। ইসিতে আসেনি নয় দল। সেগুলো হলো- এলডিপি, বিজেপি, সিপিবি, কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিএমএল, মুসলিম লীগ, খেলাফত মজলিশ ও গণতন্ত্রী পার্টি।

 

বিকেলে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপেও ১৩টি দল অংশ নিয়েছে। আসেনি বিএনপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।

 

নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। এজন্য শেষবারের মতো এই সংলাপের আয়োজন করেছে সংস্থাটি।

 

সিইসির সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ( বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতারা অংশ নিয়েছেন।