উপ মহাদেশের প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার (র.) বার্ষিক ওরশ আমাগীকাল মঙ্গলবার আনোয়ারা উপজেলার বটতলী রুস্তম হাটের দরগা প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। মাজার জিয়ারত, জিকির আজকার,মিলাদ মাহফিল,খতমে কোরআন, তবারুক বিতরণ ও আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরশ সম্পন্ন হবে। রবিবার (১৮জুন) দুপুরে মাজার প্রাঙ্গনে ওরশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিচালনা কমিটির যুগ্ন মতোয়াল্লী আলহাজ¦ এসএম ফজলুল করিম ও এসএম জহিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম আবু তাহের মিয়া, এসএম আয়ুব নূরী বাবুল, এসএম নেজাম উদ্দিন মাসুদ, এসএম জহির উদ্দিন, এসএম নজরুল ইসলাম, এসএম জসিম উদ্দিন, এসএম মনজুরুল ইসলাম, এসএম দিদারুল ইসলাম, এসএম আবুল কাশেম ছোটন, এসএম মনছুর,এসএম মহিউদ্দিন আনিস, এসএম ছালেক, এসএম মোজাম্মেল, এসএম নাজিম উদ্দিন ও এসএম কফিল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে ওরশের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সোমবার একদিন আগে থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করে। ওরশ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এবছর ওরশে ১০ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওরশের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে পৃথক বৈঠক করেছে ওরশ পরিচালনা কমিটি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, পরিচালনা কমিটি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করে ওরশের সার্বিক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। কোন ধরণের ধর্মীয় অনুভুতিতে যেন আঘাত না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য প্রতিবছর আষাঢ় মাসের ৬ তারিখ শাহ মোহছেন আউলিয়ার (র.) বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। ওরশে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ ভক্ত আশেকানের উপস্থিতিতে মাজার প্রাঙ্গণসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সারাদিন ভক্তদের মাজার জিয়ারত, জিকির আজকার, ও তবারুক বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। রাতে মিলাদ কিয়াম ও আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরশ সম্পন্ন হবে।