আনোয়ারায় বিএনপি-জামাতের অবরোধ কর্মসূচির মিছিল থেকে ইটপাটকেলের আঘাতে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার চাতরী চৌমহনীর উত্তর পাশে রাজছিলা ফকিরের মাজার এলাকায় টানেল সংযোগ সড়কে ঘটনা ঘটে। অপর অহতরা হলেন ওসি(তদন্ত) মহিউদ্দিন ও পুলিশ সদস্য বিজয় চাকমা। হামলায় আবুল বশর নামে এক পথচারীও আহত হয়। এসময় পুলিশের গাড়ী ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। আহতরা সবাই মাথা, হাতে-মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। পুলিশ একজনকে আটক করে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে আনোয়ারা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনারপর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক দোলন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, সাধারণ রিদুয়ানুল হক রহিম,
যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের েএৰর নুরুচ্ছফা ও সাধারণ সম্পাদক এম নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আলী আব্বাস, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক, নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অবরোধের সমর্তনে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী রাজছিলা ফকিরের মাজার এলাকায় টানেল সংযোগ সড়কে জড়ো হতে থাকে। দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। কিছুক্ষণ পর আবার জড়ো হয়ে মিছিল করে ইটপাটকেল ও লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমরা প্রথমে বিএনপি-জামাতের অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়, পরে তারা অতর্কিত ভাবে একশ থেকে দেড়শ লোক আমাদের উপর হামলা করে, তাদের হাতে লাঠি ও ইটপাটকেল ছিল। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছি।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রশিদ বলেন, ইটের আঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তার চোখের কোনায় ব্লাড জমে থাকতে পারে, তার মাথায়ও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন, তবে তিনি শঙ্কামুক্ত, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র প্রেরণ করা হবে।