আনোয়ারায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে একই স্থানে মিছিল নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে উভয় পক্ষের মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। সোমবার (১৩ মে) বিকালে উপজেলার চাতরী চৌমহনী এলাকার বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়কে এ উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি মিছিলের আয়োজন করেন। এতে এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে দু‘পক্ষের সমর্থকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হকের সমর্থকরা চাতরী চৌমহনী বাজারে টানেল সংযোগ সড়কে নির্বাচনি মিছিলের ঘোষণা দেন। বিকাল হতেই দুই পক্ষের হাজার দেড়েক সমর্থক উপস্থিত হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে মিছিল করতে নিষেধ করেন। এসময় উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, আজ আমার কোন কর্মসূচি ছিলনা, প্রতীক বরাদ্দের পর জনগণ নিজেরাই আনন্দিত হয়ে জমায়েত হলে পুলিশ বাঁধা দেন। এতে আমার সমর্থকরা মিছিল না করে ফিরে আসে।
আপর চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হকের নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত আবুল বশর বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর আমাদের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনি অফিসের সামনে একত্রিত হয়ে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ নিষেধ করেন। আমাদেরও কোন কর্মসূচি ছিলনা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকরা একই স্থানে মিছিল করতে চাইলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও নির্বাচতি দায়িত্ব প্রাপ্ত এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে কোন পক্ষকে মিছিল করতে দেয়নি। এতে পরিস্থিত শান্ত হয়।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা । চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরী উপজেলার বরুমচড়া ও বারখাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়, কাজী মোজাম্মেল হক চাতরী চৌমহনী বাজার, বৈরাগ ও বারশত ইউনিয়নে এবং অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, চাতরী চৌমহনী বাজার, বটতলী ও বারশত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা করেন। এসময় প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে মানুষের পাশে থাকাসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রার্থীরাও মানুষের কাছে গিয়ে দোয়া ও ভোট চাচ্ছেন।